কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
ঋণ নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিঃ Methods of Credit Control of Central Bank
ঋণ নিয়ন্ত্রণ
বলতে এমন কতগুলো কৌশলকে বুঝায় যা প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতিতে ঋণের পরিমান
কার্যকর পর্যায়ে সীমিত রাখে । সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ দায়িত্ব পালন করে । তাই দেশের অভ্যন্তরে ঋণের পরিমাণ কাম্যস্তরে বজায় রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেষ্টা প্রচেষ্টাকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ বলে । প্রধানত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হচ্ছে ২ প্রকার । নিম্নে এই পদ্ধতিগুলো আলোচনা করা হলো -
Debt control refers to a number of strategies that the central bank applies to keep the amount of debt in the economy at an effective level. The central bank performs this duty on behalf of the government. Therefore, the central bank's efforts to maintain the level of credit within the country to the desired level is called the central bank's debt control. There are two main methods of credit control of central bank. These methods are discussed below -
১। সাধারণ বা সংখ্যাত্মক পদ্ধতিঃ General or numerical method of credit control of central bank:
এই পদ্ধতিতে রয়েছে অনেক প্রকারভেদ –
ক. ব্যাংক হার নীতি
খ. খোলাবাজার নীতি
গ. জমার হার পরিবর্তন নীতি
ক. ব্যাংক হার নীতিঃ
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যে সুদের হারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করে বা প্রথম শ্রেনির বিল বা সিকিউরিটিসমূহ বাট্টা করে নেয়, সে হারকে ব্যাংক হার বলে । বর্তমানে বাংলাদেশে এ হার ৫% । তবে এ হার পরিবর্তনশীল । ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সর্বপ্রথম ১৮৩৯ সালে ঋণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাংক হার নীতির প্রয়োগ ঘটায় । কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন দেখে যে বাজার প্রচুর ঋণ ছাড়া হয়েছে, তখন সে ঋণের সুদের হার বাড়িয়ে দেয় । ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংক কম ঋণ দেয় এবং জনগণও কম ঋণ নেয় ।
খ. খোলাবাজার নীতিঃ
যে নীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে স্বপ্রণোদিত হয়ে মুদ্রাবাজারে সিকিউরিটি, ঋণপত্র ও বিল ক্রয়-বিক্রয় কার্যাদি পরিচালনা করে তাকে খোলাবাজার নীতি বলে । বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হাতে যখন প্রচুর নগদ টাকা জমা থাকে এবং তারা অধিক ঋণ প্রদান করে, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক পূর্বে খরিদকৃত ঋণপত্র সমূহ খোলাবাজারে বিক্রি করে । ঋণপত্র ক্রয়কারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান গুলো বাণিজ্যিক ব্যাংকের ওপর চেক প্রদান করে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো হতে চেকের টাকা উঠিয়ে নেয় । এভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মজুদ টাকার পরিমাণ কমে আসে এবং তাদের ঋণদান ক্ষমতা হ্রাস পায় ।
পক্ষান্তরে অর্থাভাব বা মন্দাভাব দেখা দিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খোলাবাজর হতে শেয়ার ও সিকিউরিটি, ঋণপত্র ক্রয় করে, ফলে বাজার টাকার সরবরাহ বাড়ে এবং উক্ত টাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হাতে চলে যায় ।
গ. জমার হার পরিবর্তন নীতিঃ
যে পদ্ধতি প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার তালিকাভূক্ত ব্যাংকগুলোর সংরক্ষিত আমানতের পরিমাণ হ্রাস – বৃদ্ধিকরণের মাধ্যমে উক্ত তালিকাভূক্ত ব্যাংকগুলোর ঋণ সৃষ্টির ক্ষমতা হ্রাস বা বৃদ্ধি করে দেশের মুদ্রা সরবরাহ কার্যসীমায় সীমাবদ্ধ রাথতে প্রচেষ্টা চালায় তাকে জমার হার পরিবর্তন নীতি বলে । বাণিকজ্যক ব্যাংকগুলো যখন বাজার অধিক পরিমাণ ঋণ দিতে থাকে তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর রিজার্ভের হার বাড়িয়ে দেয় ।ফলে বাধ্যতামূলক ভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের আমানতের নির্দিষ্ট অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখে । এভাবে অধিক নগদ অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেওয়ার ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নগদ মজুদের পরিমাণ কমে যায় সাথে সাথে ঋণদান ক্ষমতাও হ্রাস পায় ।
২। গুণগত বা নির্বাচনমূলক
পদ্ধতিঃ Qualitative or selective
method of credit control of central bank:
এই পদ্ধতিতে রয়েছে অনেক প্রকারভেদ –
ক. ঋণের বরাদ্দকরণ নীতি
খ. ভোগ্যপণ্যের ঋণ নিয়ন্ত্রণ
গ. জামানতি ঋণের প্রান্তিক হার পরিবর্তন
ঘ. প্রত্যক্ষ ব্যভস্থা
ঙ. নৈতিক প্ররোচনা
চ. প্রচারণা পদ্ধতি
0 Comments
Thank you for commenting