Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

The Central Bank Scope and Purpose - কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আওতা পরিধি ও উদ্দেশ্য

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আওতা পরিধি ও উদ্দেশ্য II The Central Bank Scope and Purpose



The Central Bank Scope and Purpose

 

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংক - The Central Bank:

 

সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থার উদ্ভব হয়। প্রতিটি স্বাধীন দেমশর অর্থ ব্যবস্থার মূল কেন্দ্রবিন্দু কেন্দ্রীয় ব্যাংক । কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি প্রধান ব্যাংক হলেও এর জন্ম বানিজ্যিক ব্যাংকের অনেক পরে । বর্তমান কালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পাদিত কাজগুলা অতীতে বানণজ্যিক ব্যাংক সম্পাদন করত । বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মালিকানা সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকে । যার কারণে এ ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন নয় বরং জনকল্যান । কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মুদ্রাবাজারের অভিভাবক বলা হয় । কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের প্রধান ব্যাংক হিসেবে নোট ও মুদ্রার প্রচলন, বৈদেশিক বিনিময় নিয়ন্ত্রণ, ঋণ নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কাজগুলো সরকারের পক্ষে সম্পাদন করে ।  

The central banking system originated in the middle of the seventeenth century. The central bank is at the heart of every independent financial system. Although the central bank is a major bank, it was born much later than the commercial bank. In the past, the functions performed by the central bank were performed by commercial banks. Most of the central banks are owned by the government. Due to which the main objective of this bank is not to make profit but for public welfare. The central bank is called the guardian of the money market. As the main bank of the country, the central bank performs the functions of circulation of notes and currencies, control of foreign exchange, control of debt, etc.


বিনিময় প্রথার অসুবিধা দূর করার জন্য বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে মুদ্রার প্রচলন ঘটে । মুদ্রার প্রচলন ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য মুদ্রাবাজারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থার উদ্ভব । কেন্দ্রীয় ব্যাংক হচ্ছে যে কোন দেশের প্রধান ব্যাংক । দেশের সকল ব্যাংককে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করে থাকে । ‘দি রিকস ব্যাংক সুইডেন’ ১৬৫৬ সালে প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ব্যাংকিং ইতিহাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয় । এটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ও সর্বপ্রথম বেসরকারি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক । সপ্তদশ শতাব্দীর শেরে দিকে ১৬৯৪ সালে যুক্তরাজ্যে ‘ব্যাংক অব ইংল্যান্ড’ বিশ্বের দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় । এসব কারণে ‘ব্যাংক অব ইংল্যান্ড’ কে মাদার অব সেন্ট্রাল ব্যাংক বলা হয় ।  

Currency was introduced as a medium of exchange to overcome the difficulties of the exchange system. The emergence of the central banking system in the mid-seventeenth century to control the money market for the circulation and security of money. The central bank is the main bank of any country. The central bank directly and indirectly controls all the banks in the country. The Rix Bank of Sweden was established in 1858, marking the beginning of the central bank's history in banking. It is the oldest and first privately owned bank in the world. In the late seventeenth century, the Bank of England was established in the United Kingdom in 1894 as the second central bank in the world. For these reasons, the Bank of England is called the Mother of the Central Bank.


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আওতা ও পরিধিঃ The Central Bank Scope and Purpose

একটি দেশের মূল চালিকা শক্তি হলো ঔ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক । এক ঘিরেই দেশের সমস্ত মুদ্রা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা মূলত গড়ে ওঠে । যে ব্যাংক নোট ও মুদ্রার প্রচলন, মুদ্রাবাজার পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার এবং বিশেষ আর্থিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা করে থাকে তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে । নিম্নে আওতা ও পরিধি আলোচনা করা হলো –  

The main driving force of a country is the central bank of that country. All the monetary and banking systems of the country were formed in one go. The central bank is the bank that assists the government in the circulation of notes and currencies, in the management and control of the money market and in the formulation and implementation of bankers and special monetary policies of other banks. The scope and scope are discussed below-

 

১। নোট ও মুদ্রা প্রচলনঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো দেশের অভ্যন্তরে নোট ইস্যু ও মুদ্রার প্রচলন করা । বাংলাদেশ ব্যাংক আইন অনুযায়ী নোটের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ রাখে । 

 

২। মুদ্রার মান নিয়ন্ত্রণঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে সকল কাজ করে তার মধ্যে প্রধান কাজ হলো মুদ্রার মান নিয়ন্ত্রণ করা । অর্থের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রা সংকোচন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে । এ ছাড়া মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতা রক্ষা ও বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হারও নির্ধারণ করে । 

 

৩। সরকারের ব্যাংকঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের পক্ষ হয়ে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ব্যাংক বলে । কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের পক্ষে নিম্নলিখিত কাজ করে-

·         সরকারের পক্ষ হয়ে অর্থসংগ্রহ ও সংরক্ষণ

·         সরকারের পক্ষ হয়ে অর্থ প্রদান

·         সরকারের পক্ষ হয়ে ঋণ গ্রহণ

·         সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তত্ত্বাবধান

·         সরকারের পক্ষে বিদেশ হতে অর্থ গ্রহন ও প্রদান

·         সরকারের হিসাব সংরক্ষণ

·         আন্তর্জাতিক দেনা পাওনা নিষ্পত্তি

·         আমদানি রপ্তানি নীতি প্রণয়ন ইত্যাদি

 

৪। ঋণ নিয়ন্ত্রণঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রাসংকোচনকে নিয়ন্ত্রণ করে দেশে মূল্যস্তর স্থিতিশীল রাখে ।

 

৫। অণন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকারঃ বাংলাদেশে তালিকা ভূক্ত ব্যাংকের পক্ষ হয়ে প্রতিদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনেক ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলি সম্পাদন করতে হয় । এছাড়া তালিকাভূক্ত ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করে । তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার বলে । 

 

৬। ঋন দানের শেষ আশ্রয়স্থলঃ তালিকাভূক্ত ব্যাংকগুলো যখন অর্থসংকটে পড়ে অন্য ব্যাংকগুলো থেকে কোন ঋণ সহায়তা পায়না তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সকল ব্যাংকগুলোকে ঋন দিয়ে সহযোগিতা করে । 

 

৭। বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশের নোটের বিনিময়ে অনুমোদিত আমদানি খাতে ব্যয় করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ ও বরাদ্দ করে । 

 

৮। নিকাশঘরঃ বাংলাদেশ ব্যাংক নিকাশঘর হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । দেশের বিভিন্ন বানিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে চেক ও অন্যান্য বিনিময়ের মাধ্যমে সৃষ্ট দেনা পাওনা বাংলাদেশ ব্যাংক নিকাশঘরের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে । 

 

৯। সরকারের উপদেষ্টা ও প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের মূল্যস্তর এবং বৈদেশিক বিনিময় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারকে উপদেশ ও পরামর্শ দিয়ে থাকে । 

 

১০। মূদ্রার অবমূল্যায়নঃ সরকার যদি নির্দেশ দেয় তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনবোধে টাকার অবমূল্যায়ন করে থাকে । এ অবস্থায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বৃদ্ধি পায় ।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্দেশ্যঃ Purpose of Central Bank:

 

     দেশের অর্থনৈতিক অবস্থঅকে শক্তিশালী করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে হয় । একটি দেশের মুদ্রাবাজারের প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ।নিচে উদ্দেশ্য গুলো বর্ণনা করা হলো - 

 

১। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুনাফাভোগী প্রতিষ্ঠান নয় । জনগণের সর্বোচ্চ আর্থিক কল্যাণ নিশ্চিত করা এর মূল উদ্দেশ্য ।

 

২। নোট ও ‍মুদ্রা প্রচলনের একমাত্র ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের । বিনিময়ের মাধ্যমে হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোট ও মুদ্রা প্রচলনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখে ।

 

৩। সুষ্ঠু ও সুনিয়ন্ত্রিত মুদ্রাবাজার যেকোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত । এ উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাবাজার গঠন ও নিয়ন্ত্রণ করে ।

 

৪। তালিকাভূক্ত বানিজ্যিক ব্যাংকের সাহায্যে সঞ্চয় সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী মূলধন গঠনে সহায়তা করে ।

 

৫। দেশ ও জাতির অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করে ।

 

৬। দেশের অর্থনীতি অনুকূলে রাখতে বৈদেশিক মুদ্রার আগমন ও নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য ।

 

৭। সরকারের ব্যাংক হিসেবে তার স্বার্থ সংরক্ষণ করে এবং সরকারের পক্ষ্য যাবতীয় লেনদেন সম্পন্ন করাই এর অন্যতম উদ্দেশ্য ।

 

৮। বানিজ্যিক ব্যাংকসমূহের মধ্যে যেসব দেনা-পাওনা সৃষ্টি হয় তা নিষ্পত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল দায়িত্ব পালন করে ।

 

৯। বাজারে পর্যাপ্ত ঋণ সরবরাহ করে মুনাফা অর্জনের জন্য বানিজ্যিক ব্যাংক সর্বদাই সচেষ্ট থাকে । তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের ঋণের পরিমান স্থিতিশীর রাখতে সহায়তা করে । 

 

১০। জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতির স্বার্থে বিভিন্ন দেশের সরকার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সচেষ্ট থাকে ।

Post a Comment

0 Comments