Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Types of Cheque - চেকের প্রকারভেদ বা শ্রেনিবিভাগ

 

 চেকের প্রকারভেদ বা শ্রেনিবিভাগ II Types of Cheque

 

Types of Cheque

 

চেক কি? What is Cheque

চেক হচ্ছে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য ব্যাংকের প্রতি আমানতকারীর লিখিত নির্দেশনামা । আইন অনুযায়ী সবকিছু ঠিক থাকলে ব্যাংক যার অর্থ চাহিবামাত্র তাকে প্রদানে বাধ্য থাকে ।  

A check is a written instruction of the depositor to the bank for payment of a certain amount. According to the law, if everything is fine, the bank is obliged to give him the money as soon as he asks for it.

ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য চেক একটি নিরাপদ, সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম । এটি একটি ছাপানো কাগজ যা সবসময়ই ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত ও মুদ্রিত । অর্থ উত্তোলনের আদেশ দেওয়ার সময় চেকে আমানতকারী স্বাক্ষর করে । Checks are a safe, easy and popular way to withdraw money from banks. It is a printed paper which is always supplied and printed by the bank. The check is signed by the depositor at the time of ordering withdrawal.

 

চেকের প্রকারভেদ বা শ্রেনিবিভাগঃ Types of Cheque

 

চেক বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে । প্রধানত চেক তিন প্রকার । যথা- বাহক চেক, হুকুম চেক, দাগকাটা চেক । এ তিনটি চেকের ব্যাপক প্রচলন হলেও বর্তমানে চেকের উদ্দেশ্য ও ব্যবহার ভেদে বিভিন্ন রকম চেকের ব্যবহার দেখা যায় । যেমন- 

 

১. বাহক চেক

২. হুকুম চেক

৩. দাগকাটা চেক

ক. সাধারণ দাগকাটা চেক

খ. বিশেষভাবে দাগকাটা চেক

৪. ভ্রমণকারীর চেক

৫. মার্কেট চেক

৬. উপহার চেক

৭. বিবিধ চেক

ক. পূর্ব তারিখের চেক

খ. বাসি চেক

গ. হারানো চেক

ঘ. প্রত্যায়িত চেক

 

 

১. বাহক চেকঃ যে চেকের অর্থ কোনো ব্যক্তি বা বাহক ব্যাংকে উপস্থাপন করে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে তাকে বাহক চেক বলে । বাহক চেকে প্রাপকের নামের শেষে ‘কে অথবা বাহককে’ কথাটি লেখা থাকে । এরূপ চেকের কোন লিখিত অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না । তবে এটি অন্য চেকের তুলনায় কম নিরাপদ ।

 

২. হুকুম চেকঃ যে চেকের প্রপাকের নামের শেষে ‘কে অথবা আদেশানুসারে’ কথাটি লেখা থাকে, তাকে হুকুম চেক বলে । এ চেক অনুমোদনের মাধ্যমে হস্তান্তর করা যায় । তাই প্রাপক ও অনুমোদন বলে প্রাপক ছাড়া এ চেকের অর্থ অন্য কেউ সংগ্রহ করতে পারে না । ফলে বাহক চেক অপেক্ষা এটি অধিক নিরাপদ ।

 

৩. দাগকাটা চেকঃ 

বাহক চেক বা হুকুম চেকের বাম কোণে ‍উপরে আড়াআড়ি ভাবে দুটি সমান্তরাল রেখা টেনে যে চেক প্রস্তুত করা হয়, তাকে দাগকাটা চেক বলে ।এরূপ চেকের অর্থ সরাসরি ব্যাংক হতে সংগ্রহ করা যায় না । ব্যাংকে চেক জমা দিয়ে অর্থ সংগ্রহরে পর আলাদা চেক কেটে তা সংগ্রহ করতে হয় ।তাই অন্য যে কোনো চেকের তুলনায় এটি অধিক নিরাপদ । তারতম্য ভেদে দাগকাটা চেককে দু’ ভাগে করা হয় । যথাঃ-

 

ক. সাধারণ দাগকাটা চেক: দুটি সমান্তরাল রেখাদ্বয়ের মাঝখানে যদি কিছু না লেখা থাকে অথবা এন্ড কোং হস্তান্তর যোগ্য নয় ইত্যাদি লেখা থাকে, তাকে সাধারণ দাগকাটা চেক বলে । এরূপ চেক প্রাপকের যে কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়েই অর্থ সংগ্রহ করা যায় ।

 

খ. বিশেষ ভাবে দাগকাটা চেক: দুটি সমান্তরাল রেখাদ্বয়ের মাঝখানে যদি কোনো ব্যাংকের নাম লেখা থাকে  তবে তাকে বিশেষ দাগকাটা চেক বলে । এ ধরনের চেকের অর্থ দাগের মাঝখানে উল্লিখিত ব্যাংক বা শাখায় প্রাপকের হিসাবে জমা দিয়ে অর্থ উত্তোলন করতে হয় ।

 

৪. ভ্রমণকারীর চেক: দেশ বিদেশে ভ্রমণকালে ভ্রমণকারীর সুবিধার্থে ব্যাংক যে ধরনের চেক ইস্যু করে তাকে ভ্রমণকারীর চেক বলে । ইস্যুকারী ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে ভ্রমণকারী এরূপ চেক সংগ্রহ করে এবং ভ্রমণকালে ব্যাংকের শাখায় বা প্রতিনিধির ব্যাংকের নিকট তা ভাঙিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে ।

 

৫. মার্কেট চেক: মার্কেট চেক হলো এমন এক ধরনের চেক যার দ্বারা বড় বড় শপিংমল বা দোকান হতে পণ্যসামগ্রী ক্রয়ের সুবিধা পাওয়া যায় । এরূপ মার্কেট চেকের মধ্যে অন্যতম হলো- Mastercard, Visa Card ইত্যাদি । উন্নত দেশে এরূপ চেকের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে । বর্তমানে আমাদের দেশেও কিছু বেসরকারী ব্যাংকে এ কার্ড চালু করেছে ।

 

৬. উপহার চেক: বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে যে চেক প্রদান করা হয় তাকে উপহার চেক বলে । এটি ইস্যুকারী ব্যাংকের যে কোনো শাখায় ভাঙানো যায় ।

 

৭. বিবিধ চেক: উপরোল্লিখিত চেকগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের চেকের ব্যবহার দেখা যায়, তার মধ্যে নিম্নে কিছু আলোচনা করা হলো-

 

ক. ফাঁকা চেক: যে চেকে শুধু টাকার ঘর ফাঁকা রেখে অন্যান্য সব তথ্য পূরণ করা হয়, তাকে ফাঁকা চেক বলে । প্রাপক উক্ত ফাঁকা স্থানে টাকার পরিমাণ লিখে ব্যাংকে উপস্থাপন করে ।

 

খ. অগ্রিম তারিখের চেক: যে চেকের বর্তমান তারিখ না লিখে ভবিষ্যৎ কোনো তারিখ উল্লেখ থাকলে তাকে অগ্রিম তারিখের চেক বলে । 

 

গ. পূর্ব তারিখের চেক: যে চেকে ইস্যু তারিখের পূর্বেকার কোনো তারিখ উল্লেখ করা হয়, তাকে পূর্ব তারিখের চেক বলে । 

 

ঘ. বাসি চেক: চেক প্রস্তুতের তারিখের পর থেকে চেক ভাঙানোর আইনানুগ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চেক ভাঙানো না হলে, তাকে বাসি চেক বলে । সাধারণত চেক ইস্যুর তারিখ হতে ৬ মাস বা ১৮০ দিন পর্যন্ত চেকের মেয়াদ থাকে । 

 

ঙ. হারানো চেক: চেক প্রস্তুতের পর এবং উপস্থাপনের পূর্বে হারানো গেলে এ মর্মে নোটিশ পাওয়া গেলে তাকে হারানো চেক বলে ।হারানো চে সম্পর্কে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাংককে অবহিত করা হলে এরপর ব্যাংক- এই টাকা প্রদান করলে তজ্জন্য ব্যাংক দায়ী হয় ।

 

চ. প্রত্যায়িত চেক: বড় অংকের অর্থ উত্তোলনের জন্য যে চেক ভাঙানোর আগে ব্যাংক ম্যানেজারের অনুমোদন নিতে হয়, তারপর উপস্থাপন করা হয় তাকে প্রত্যায়িত চেক বলে ।    

 

 

Post a Comment

0 Comments