Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Classification of Bank loan - ব্যাংক ঋণের শ্রেণীবিভাগ

 

ব্যাংক ঋণের শ্রেণীবিভাগ – Classification of Bank loan

 

 

Classification of Bank loan

 

 

ব্যাংক বিভিন্ন উৎস থেকে আমানত সংগ্রহ করে তহবিল গঠন করে তা ঋণদানের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে । ব্যাংক শুধু নগদ অর্থে ঋণদান করে না । নগদ অর্থ ছাড়াও ব্যাংক তার সুনাম, নিশ্চয়তা ইত্যাদিও ঋণ হিসেবে দিয়ে থাকে এবং ব্যবহারকারীদের কাছে নগদ ঋণ ছাড়াও অন্যান্য উপকরণ ঋণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় । ব্যাংক ঋণকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে শ্রেনিবিভাগ করা যায় । যেমন – 

 Banks collect funds from various sources and use them for lending purposes. Banks do not just lend in cash. In addition to cash, the bank also lends its reputation, assurances, etc. to the users and other materials besides cash loans are used as loans to the users. Bank loans can be categorized from different perspectives. Such as -

 

 

১। প্রকৃতিভিত্তিক ঋণ

(ক) তহবিল ভিত্তিক ঋণ

(খ) দলিল ভিত্তিক ঋণ

 

২। উদ্দেশ্যভিত্তিক ঋণ

(ক) বাণিজ্যিক ঋণ

(খ) অবাণিজ্যিক ঋণ

 

৩। মেয়াদভিত্তিক ঋণ

(ক) স্বল্পমেয়াদি ঋণ

(খ) মধ্যমেয়াদি ঋণ

(গ) দীর্ঘমেয়াদি ঋণ

 

৪। জামানতভিত্তিক ঋণ

(ক) জামানতযুক্ত ঋণ

(খ) জামানতবিহীন ঋণ

 

 

১। প্রকৃতিভিত্তিক ঋণঃ প্র্র্র্রকৃতিভিত্তিক ঋণকে প্রধানত দুটি ভাগ করা হয়েছে । এই দুটি ভাগ নিয়ে আলোচনা করা হলো -

 

(ক) তহবিল ভিত্তিক ঋণঃ ব্যাংক তার তহবিল থেকে বিভিন্ন হিসাবের মাধ্যমে যে ঋণ প্রদান করে তাকে তহবিল ভিত্তিক ঋণ বলে । এই ঋণকে আার তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে । যথা- ধার, নগদ, জমাতিরিক্ত । 

 

ধারঃ ব্যাংক তার গ্রাহককে একটি ঋণ হিসাব খুলে নগদ অর্থে যে ঋণ প্রদান করে তাকে ধার বলে । এই ঋণ হিসাবের মাধ্যমে গ্রাহক অর্থ উত্তোলনের সুযোগ পায় । এক্ষেত্রে গ্রাহক তার ইচ্ছানুযায়ী একত্রে বা আলাদাভাবে টাকা উত্তোলন করুক না কেন তাকে মঞ্জুরির সম্পূর্ণ অর্থের ওপরই সুদ প্রদান করতে হয় । স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখে সাধারণত মঞ্জুর করা হয় ।

 

নগদ ঋণঃ ব্যাংক তার গ্রাহককে চলতি হিসাবের বিপক্ষে পণ্য বা অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে যে ঋণ মঞ্জুর করে তাকে নগদ ঋণ বলে । এক্ষেত্রেও গ্রাহককে সুদ প্রদান করতে হয় ।
 

জমাতিরিক্ত ঋণঃ গ্রাহককে চলতি হিসাবের জমাকৃত অর্থের অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দিলে তাকে জমাতিরিক্ত ঋণ বলে । চুক্তি অনুযায়ী ব্যাংক চলতি হিসাবের মালিককে এ ঋণ প্রদান করে । অর্থের সাময়িক প্রয়োজনে মূলত গ্রাহকগণ এরূপ ঋণের সুযোগ গ্রহন করেন । এ ঋণের সুদের হার সর্বাধিক । শুধু উত্তোলিত অর্থের ওপরই এ ক্ষেত্রে সুদ দিতে হয় । 

 

(খ) দলিল ভিত্তিক ঋণঃ যে ঋণ বিভিন্ন দলিলপত্র ইস্যুর মাধ্যমে প্রদান করা হয় তাকে দলিলভিত্তিক ঋণ বলে । এটি দুই প্রকার । যথা- ১। বাণিজ্যিক দলিল ঋণ  ২। অবাণিজ্যিক দলিল ঋণ

 

বাণিজ্যিক দলিল ঋণঃ যেসব ঋণের দলিল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যাংক ইস্যু করে তাকে বাণিজ্যিক দলিল ঋণ বলে । যেমন- প্রত্যয়তপত্র, পে- অর্ডার, ব্যাংকের আজ্ঞাপত্র, ব্যাংক গ্যারান্টি ইত্যাদি । 

 

অবাণিজ্যিক দলিল ঋণঃ ব্যাংক ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে যে ঋণের দলিল ইস্যু করে তাকে বাণিজ্যিক দলিল ঋণ বলে । যেমন- ভ্রমণকারীর চেক, ভ্রাম্যমান নোট, ভ্রমণকারীর প্রত্যয়পত্র ।

 

২। উদ্দেশ্য / ব্যবহারভিত্তিক ঋণঃ উদ্দেশ্যভিত্তিক ঋণকে দিুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে । যথা- ১। বাণিজ্যিক ঋণ  ২। অবাণিজ্যিক ঋণ

 

বানিজ্যিক ঋণঃ ব্যাংক অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যবহারের জন্য যে ঋণ দেয় তাকে বাণিজ্যিক ঋণ বলে । দেশে শিল্প কারখানা পরিচালনা ও ব্যবসায় সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এ ঋণের ব্যভহার রয়েছে ।

 

অবাণিজ্যিক ঋণঃ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যাংক ঋণ প্রদান করলে তাকে অবাণিজ্যিক ঋণ বলে ।

 

৩। মেয়াদভিত্তিক ঋণঃ মেয়াদভিত্তিক ঋণকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায় । ১। স্বল্পমেয়াদি ঋণ  ২। মধ্যমেয়াদি ঋণ  ৩। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ 

 

স্বল্পমেয়াদি ঋণঃ অপেক্ষাকৃত কম সময়ের জন্য ব্যাংক তার গ্রাহককে যে ঋণ মঞ্জুর করে তাকে স্বল্পমেয়াদি ঋণ বলে । এ ঋণের মেয়াদ কয়েক ঘন্টা থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর হতে পারে । 

 

মধ্যমেয়াদি ঋণঃ ব্যাংক তার গ্রাহককে এক হতে পাঁচ বছর সময়ের জন্য যে ঋণ দেয় তাকে মধ্যমেয়াদি ঋণ বলে । সাধারণত স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখে ব্যাংক এ ঋণ দেয় । 

 

দীর্ঘমেয়াদি ঋণঃ সাধারণত দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যাংক তার গ্রাহককে যে ঋণ মঞ্জুর করে তাকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বলে । এ ঋণের মেয়াদ সাধারনত পাঁচ বছর বা তার অধিক সময়ের জন্য হয়ে থাকে ।

 

৪। জামানতভিত্তিক ঋণঃ এই ঋণকে প্রধানত ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে । যথা- জামানত যুক্ত ঋণ, জামানতবিহীন ঋণ

  

 

Post a Comment

0 Comments