সরকারি নোট ও
ব্যাংক নোট কি এবং সরকারি ও ব্যাংক নোটের বৈশিষ্ট্য II What is Government Note and Bank note
সরকারি নোটঃ Government Note
একটি দেশের অর্থনীতির গতি প্রকৃতি ও নিয়ম নীতি স্থির করে থাকে সরকার বা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান । বিনিময়ের মা্যেম সৃষ্টির জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের নোট ও মুদ্রার প্রচলন করে থাকে । সপ্তম শতাব্দীতে চীনে তং ডাইনেস্টি শাসনামলে বিশ্বের প্রথম সরকারি নোটের প্রচলন ঘটে । সরকারি নোট হলো একটি কাগজি নোট বা মুদ্রা যেটি সরকার সরাসরি ইস্যু করে । এটি আইনগতভাবে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।
The nature and rules of a country's economy are determined by the government or the institutions responsible for the government. The government issues various types of notes and coins to create exchange memes. The world's first official banknotes were introduced in China in the seventh century during the Tong Dynasty. A government note is a paper note or currency that is issued directly by the government. It is legally used as a medium of exchange
বাংলাদেশে সরকারের অর্থমন্ত্রণালয় সরকারি নোট ইস্যু করে থাকে । ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার কাগজি নোট এবং কয়েন বা মুদ্রা বাংলাদেশে সরকারি নোট হিসেবে বিবেচিত । অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থের চাহিদা ও সরবরাহ বিবেচনা করে সরকারি নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ।
In Bangladesh, the Ministry of Finance issues government notes. 1 taka, 2 taka and 5 taka paper notes and coins are considered as government notes in Bangladesh. The Ministry of Finance decided to release government notes considering the demand and supply of money.
সরকারি নোটের
বৈশিষ্ট্যঃ Characteristics of Government Note
সরকারি নোটের কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে । যেমন-
১। সরকারি নোট বিহিত মুদ্রা হিসেবে দেশের সর্বত্র ব্যবহৃত হয় ।
২। সরকারি নোট অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যু করা হয় । এটি তৈরিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোন ভূমিকা নেই ।
৩। সরকারি নোটে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর থাকে ।
৪। সরকারি নোট মুদ্রা এবং কাগজি উভয় হতে পারে ।
ব্যাংক নোটঃ Bank Note
মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন যেমন ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্মেষ ঘটিয়েছে, তেমনি ব্যাংকিং ব্যবস্থা বিভিন্ন নোট ও মুদ্রা প্রচলনের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সহজতর করেছে । ব্যাংক নোট হলো ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত কাগজি নোট ও মুদ্রা যেটি বিহিত মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং চাওয়া মাত্র তার বাহককে দিতে বাধ্য থাকে । সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই নোট ইস্যু করে । সপ্তদশ শতাব্দীতে চীনে ব্যাংক নোটের আবির্ভাব ঘটে ।
বাংলাদেশে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ ব্যাংক নোট ইস্যু করে । বাজারে মুদ্রার চাহিদা, সরবরাহ ইত্যাদি বিবেচনা করে মুদ্রার বিপরীত সম্পদ সংরক্ষণ করে ব্যাংক নোট ইস্যু করা হয় । বাংলাদেশ ব্যাংক ছয় ধরনের নোট ইস্যু করে । যথা- ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট ।
ব্যাংক নোটের বৈশিষ্ট্যঃ Characteristics of Bank Note
১। ব্যাংক নোট কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইস্যু করে ।
২। ব্যাংক নোটে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণর স্বাক্ষর করেন ।
৩। ব্যাংক নোট বিহিত মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত ।
৪। ব্যাংক নোট ইস্যুর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৩০% রিজার্ভ সংরক্ষণ করে ।
৫। ব্যাংক নোট প্রদর্শনের সাথে সাথে এর বাহককে পাওনা দিতে বাধ্য ।
0 Comments
Thank you for commenting